শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ 

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতিয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া ও ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মণ্ডল এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে।

আহতদের বেলকুচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে দলীয় ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে ব্যানার ছিরে ফেলা আর হামলার ঘটনায় স্থানীয় এমপির ওপর ক্ষুব্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতাকর্মীরা।

বেলকুচি থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতা কর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলে দেয়ার প্রস্তুতিকালে দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

উভয় গ্রুপকেই দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমরা নেতা কর্মীদের নিয়ে সকাল পৌনে ৭ টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হই। সকাল ৭ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডল আসার পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করি। 

এবপর আমরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যপ্রদান ও পুস্পস্তব অর্পনের পূর্বেই দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে এমপির লোকজন আমার ওপর চড়াও হয়। আমি বলি এটা দলের ব্যানার এখানে শুধু বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর ছবি আর নাম থাকবে। নিচে আয়োজনে উপজেলা আওয়ামী লীগ লেখা রয়েছে। কিন্তু তারা সেটা মানতে নারাজ। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিরে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করলে। 

এবিষয়ে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, সকালে এমপি দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কার্যালয়ের ভিতরে গিয়ে দেখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে তার নাম নেই।

তখন বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে আশানুর বিশ্বাসের কিছু লোকজন কথাটি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে উভয়ের সমর্থকদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হলে পুলিশ তাৎক্ষনিক নিয়ন্ত্রণ করে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুস্পস্তবক অর্পন করি ও উপজেলা অডিটোরিয়ারে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করি। 

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান বলেন, আজকের এই দিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

টিএইচ